রান্নাঘরকে মনের মতো সাঁজাতে যে ৯টি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
একটি বাসার ইন্টেরিয়রে রান্নাঘর একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। একটা সময় ছিলো যখন রান্নাঘর শুধুমাত্র রান্নার কাজেই ব্যবহ্রত হত।এখন পারিবারিক আড্ডা ,খাওয়া দাওয়া সব কিছুই চলে রান্নাঘরে। গৎবাঁধা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ট্রেন্ডি ও মর্ডাণ কিচেনের দিকে ঝুঁকছেন সবাই।সেই সাথে কতোটা ব্যাবহার উপযোগী করে একটি রান্নাঘর তৈরি করা যায় সেই বিষয়টি ও প্রাধান্য পাচ্ছে। একটি রান্নাঘর তৈরির আগে কি কি বিষয় প্রাধান্য দেয়া উচিত?
৪. খোলামেলা ও আলো-বাতাসপূর্ণ রান্নাঘর গড়ে তুলুন
একজন গৃহিণীর দিনের বড় একটি অংশ কাটে রান্নাঘরে।
তাই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকা অত্যন্ত জরুরি।
ছোট জায়গায় ফিট করতে চাইলে ওপেন কিচেন হতে পারে একটি কার্যকর সমাধান।
ডাইনিং ও কিচেন একসঙ্গে থাকলে জায়গাও সাশ্রয় হয়।
L-শেপ, U-শেপ, G-প্যাটার্ন, Island বা Galley টাইপ ডিজাইনও বিবেচনা করতে পারেন।
৮. এক্সেসরিজ আগে নির্ধারণ করুন
কিচেন কেবিনেট তৈরি করার আগে সিদ্ধান্ত নিন—
কোন এক্সেসরিজ ব্যবহার করবেন।
এতে করে ফাংশনাল এবং ব্যবহার উপযোগী কেবিনেট তৈরি সহজ হয়।
FAQs:
বাজার ও উপকরণ সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিন। ইন্টেরিয়র রিলেটেড ভিডিও ও রিভিউ দেখে কোয়ালিটি উপকরণ এবং অভিজ্ঞ ডিজাইনার বেছে নিন। রান্নাঘর একটি দীর্ঘমেয়াদী ইনভেস্টমেন্ট।
পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হওয়া উচিত বাজেট নির্ধারণ। কম খরচে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার না করে দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর সমাধান বেছে নিন। প্রয়োজন ও সাধ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখুন।
পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করুন। কিচেনের আয়তন, ব্যবহারের ধরন এবং নিজের পছন্দ ডিজাইনারকে জানান। এতে রান্নাঘর হয়ে ওঠে কার্যকরী ও মানানসই।
পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নিশ্চিত করুন। ছোট জায়গার জন্য ওপেন কিচেন বা ডাইনিং ও কিচেন একসঙ্গে রাখুন। L-শেপ, U-শেপ, G-প্যাটার্ন, Island বা Galley ডিজাইনও কার্যকর।
হালকা বা সলিড রঙ ব্যবহার করুন। গাঢ় রঙ ছোট দেখায়, হালকা রঙ প্রশান্তি দেয় এবং রান্নাঘরকে spacious দেখায়।
মার্বেল টপ কাউন্টার ব্যবহার করুন। এটি দেখতে আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারেও আরামদায়ক, পাশাপাশি জায়গা বাঁচায়।
টাইলস বসানোর আগে সব ইলেকট্রিক এবং পানির লাইন কাজ সম্পন্ন করুন। পরে করলে সময় ও অর্থ দুইই নষ্ট হতে পারে।
কিচেন ক্যাবিনেট তৈরি করার আগে এক্সেসরিজ নির্ধারণ করুন। এতে ফাংশনাল এবং ব্যবহার উপযোগী কেবিনেট তৈরি করা সহজ হয়।
রান্নাঘরকে যতটা সম্ভব সিম্পল রাখুন। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকলে রান্না সহজ ও মজাদার হয়।



